উচ্ছেদ অভিযানের পরেও অশান্ত বেলডাঙ্গার রাস্তা, থামছেই না দুর্ঘটনা!

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বেলডাঙ্গায় আবারও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা। বুধবার সকালে একটি মালবোঝাই ট্রাক ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে বেলডাঙ্গা থানার মহেশপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সাত সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ট্রাক বেলডাঙ্গা থেকে বহরমপুরের দিকে আসছিল, সেই রাস্তায় হঠাৎই চলে আসে একটি ট্রাক্টর। বেলডাঙ্গার মহেশপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় এই দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত হন ট্রাক্টরের চালক ও এক শ্রমিক এবং ট্রাক চালক। স্থানীয়রা ট্রাক্টরের চালক ও শ্রমিককে উদ্ধার করে বেলডাঙা গ্রামীন হাসপাতালে পাঠায়। তবে ট্রাকের ভিতরেই আহত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়েন চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় দমকল ও পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ওই দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয় চালককে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয়দের দাবী, ট্রাক্টর চালক রংরুটে চলে আসার ফলেই ঘটে দুর্ঘটনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ বেলডাঙ্গায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা রুখতে বুলডোজার দিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় প্রশাসন।বেলডাঙ্গা থানা ও পৌরসভার পক্ষ থেকে জাতীয় সড়কের পাশে ব্যবসায়ীদের দখল করে রাখা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে সেখানে জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ি পারকিং-এর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই মতো গত সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকেই বুডজোজার নিয়ে বেলডাঙ্গা বড়ুয়া মোড় থেকে মঝ্যমপুর এবং বড়ুয়া মোড় থেকে পাঁচরাহা মোড় পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানও চালানো হয়। বেলডাঙ্গা থানার আইসি জামালউদ্দিন মন্ডল, বেলডাঙ্গার বিধায়ক হাসানুজ্জামান, বেলডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধা হাজরা ব্যানার্জি ও ভাইস চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মন্ডলের উপস্থিতিতে জাতীয় সড়কের ওপর দুর্ঘটনা রুখতে চলে এই উচ্ছেদ অভিযান। বিগত কিছুদিনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে বেলডাঙ্গা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরেই। তাই রমজান মাসে দুর্ঘটনা রুখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় দু’দিনের মাথায় আজ আবার দুর্ঘটনা দেখল বেলডাঙ্গার মানুষ।

২৭ মার্চে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে উচ্ছেদ অভিযানের ছবি

একদিকে, বেলডাঙ্গা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা রুখতে তৎপরতা দেখাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন আর অন্যদিকে, দুর্ঘটনা থামার কোনও লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না, এই নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বেলডাঙ্গার স্থানীয় মানুষ।